১১২ জাতের স্থানীয় আমন ধানের প্রায়োগিক গবেষণাধীন প্লট পরিদর্শন। ২১ টি এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচন। এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে বটিয়াঘাটায় অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী এক কৃষক মাঠ দিবস। মিজরিও-জার্মানীর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং গঙ্গারামপুর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১২ জাতের ধান গবেষণা প্লটে ধানের র্যাংকিং শেষে গঙ্গারামপুর স্টার ইউনিট ক্লাব মাঠে কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।লোকজ- এর সহসভাপতি ও খুলনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট-এর সাবেক অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে আেেলাচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: রফিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: নজরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: কৃষিবিদ আবু বকর সিদ্দিক, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আসলাম হালদার। লোকজ -এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারে সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মÐল, নিকুঞ্জ বিহারী সরকার, তাপস মল্লিক, অমিরা সরকার, মাসুদ বিশ্বাস ও শ্যামল সরকার প্রমুখ:। মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১১২ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১১২ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর হলো: মন্তেশ্বর, স্বর্ণা, বেনাপোল, চিনিআতপ, চিনিকানাই, আরুনী, লোকজ, সাদা বাঁশফুলবালাম, ডাকশাইল, বেনাপোল, খেজুরছড়ি, সাগরফনা, মোতা, নিলাবতী, জামিনীমোটা, জেসমিন, কার্তিক বালাম, চর বলেশ্বর, ইঞ্চি, দারশাইল। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান কৃষকরা বেশি পছন্দ করেছেন।স্থানীয় ধানগুলোকে আমাদের বীজ নিরাপত্তার জন্য রাখতে হবে। স্থানীয় ধানবীজ বিতরণের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১১২ প্রজাতির ধান সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখায় স্থানীয় কৃষক ও অতিথিরা লোকজ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

